বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্ব, উত্তর-পূর্ব, উত্তর-পশ্চিম, দক্ষিণাঞ্চল, উত্তরাঞ্চলে বিভিন্ন লঘু নৃগোষ্ঠীর বসবাস। এই নৃগোষ্ঠীসমূহের জীবন ও সংস্কৃতিকে কেন্দ্র করে আধুনিক মঞ্চে নাট্যরচনার সূত্রপাত করেন সেলিম আল দীন। এরপর তাদের জীবন ও সংস্কৃতি মঞ্চে উদ্ভাসিত হয় বাংলাদেশের বিভিন্ন নাট্যকারদের রচনায়।
বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্ব, উত্তর-পূর্ব, উত্তর-পশ্চিম, দক্ষিণাঞ্চল, উত্তরাঞ্চলে বিভিন্ন লঘু নৃগোষ্ঠীর বসবাস। এই নৃগোষ্ঠীসমূহের জীবন ও সংস্কৃতিকে কেন্দ্র করে আধুনিক মঞ্চে নাট্যরচনার সূত্রপাত করেন সেলিম আল দীন। এরপর তাদের জীবন ও সংস্কৃতি মঞ্চে উদ্ভাসিত হয় বাংলাদেশের বিভিন্ন নাট্যকারদের রচনায়। বাংলাদেশের থিয়েটারে নৃগোষ্ঠীর নাট্য প্রয়াস প্রসঙ্গে বিশেষজ্ঞের অভিমত, “বাংলা নাটকের বয়স সুদীর্ঘ হলেও, এদেশের আদি নৃগোষ্ঠীর জীবন ও জনপদ নিয়ে নাট্যরচনার প্রয়াস অতি সাম্প্রতিক প্রবণতা। দীর্ঘ উপেক্ষার পর এদেশের কয়েকজন সচেতন নাট্যশিল্পী আদি নৃগোষ্ঠীর জীবন নিয়ে নাট্যরচনায় এগিয়ে এসেছেন, আমাদের নাটকে সঞ্চারিত হয়েছে একটি নতুন মাত্রা।”১ নৃগোষ্ঠীর জীবন নিয়ে যারা নাটক রচনা করেছেন জ্জসেলিম আল দীন, মামুনুর রশীদ, আফসার আহমদ, মুম রহমান, গোলাম শফিক, তানভীর আহমেদ সিডনী, জুয়েল কবীর, শুভাশিস সিনহা প্রমুখ।
স্বাধীন বাংলাদেশে ‘আদিবাসী’ শব্দের চেয়ে রাজনৈতিক বিবেচনায় ‘উপজাতি’ শব্দের প্রচলন লক্ষ করা যায়। এই শব্দের ব্যবহার প্রসঙ্গে আফসার আহমদের অভিমত, “বৃহত্তর জনগোষ্ঠী বাঙালির তুলনায় এ সকল নৃগোষ্ঠীকে অনুন্নত পশ্চাৎপদ, বর্বর ও সরল আখ্যায়িত করে জাতির চেয়ে কম মর্যাদাব্যঞ্জক উপজাতি তকমাটি সেটে দেয়া হয়েছে।”২ এই রাজনৈতিক বিবেচনায় লঘু নৃগোষ্ঠীসমূহ মূলধারা থেকে বিচ্ছিন্ন। বাঙালি শাসকগোষ্ঠীর অর্থনৈতিক শোষণ ও রাজনৈতিক নির্যাতনের শিকার এই নৃগোষ্ঠীসমূহ।৩ সংস্কৃতি, ভাষা, ধর্ম ও ঐতিহ্য বিবেচনায় এ নুগোষ্ঠীসমূহ স্বতন্ত্র জাতিসত্তা হিসেবে পরিগণিত হতে পারে।৪ তার জন্য সমাজ ও রাষ্ট্রের মানসিকতার পরিবর্তন প্রয়োজন।
বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্ব, উত্তর-পূর্ব, উত্তর-পশ্চিম, দক্ষিণাঞ্চল, উত্তরাঞ্চলে বিভিন্ন লঘু নৃগোষ্ঠীর বসবাস। এই নৃগোষ্ঠীসমূহের জীবন ও সংস্কৃতিকে কেন্দ্র করে আধুনিক মঞ্চে নাট্যরচনার সূত্রপাত করেন সেলিম আল দীন। এরপর তাদের জীবন ও সংস্কৃতি মঞ্চে উদ্ভাসিত হয় বাংলাদেশের বিভিন্ন নাট্যকারদের রচনায়।
By মুম রহমান, ড. তানভীর আহমেদ সিডনী এবং জুয়েল কবির
Category: নাটক
বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্ব, উত্তর-পূর্ব, উত্তর-পশ্চিম, দক্ষিণাঞ্চল, উত্তরাঞ্চলে বিভিন্ন লঘু নৃগোষ্ঠীর বসবাস। এই নৃগোষ্ঠীসমূহের জীবন ও সংস্কৃতিকে কেন্দ্র করে আধুনিক মঞ্চে নাট্যরচনার সূত্রপাত করেন সেলিম আল দীন। এরপর তাদের জীবন ও সংস্কৃতি মঞ্চে উদ্ভাসিত হয় বাংলাদেশের বিভিন্ন নাট্যকারদের রচনায়। বাংলাদেশের থিয়েটারে নৃগোষ্ঠীর নাট্য প্রয়াস প্রসঙ্গে বিশেষজ্ঞের অভিমত, “বাংলা নাটকের বয়স সুদীর্ঘ হলেও, এদেশের আদি নৃগোষ্ঠীর জীবন ও জনপদ নিয়ে নাট্যরচনার প্রয়াস অতি সাম্প্রতিক প্রবণতা। দীর্ঘ উপেক্ষার পর এদেশের কয়েকজন সচেতন নাট্যশিল্পী আদি নৃগোষ্ঠীর জীবন নিয়ে নাট্যরচনায় এগিয়ে এসেছেন, আমাদের নাটকে সঞ্চারিত হয়েছে একটি নতুন মাত্রা।”১ নৃগোষ্ঠীর জীবন নিয়ে যারা নাটক রচনা করেছেন জ্জসেলিম আল দীন, মামুনুর রশীদ, আফসার আহমদ, মুম রহমান, গোলাম শফিক, তানভীর আহমেদ সিডনী, জুয়েল কবীর, শুভাশিস সিনহা প্রমুখ।
স্বাধীন বাংলাদেশে ‘আদিবাসী’ শব্দের চেয়ে রাজনৈতিক বিবেচনায় ‘উপজাতি’ শব্দের প্রচলন লক্ষ করা যায়। এই শব্দের ব্যবহার প্রসঙ্গে আফসার আহমদের অভিমত, “বৃহত্তর জনগোষ্ঠী বাঙালির তুলনায় এ সকল নৃগোষ্ঠীকে অনুন্নত পশ্চাৎপদ, বর্বর ও সরল আখ্যায়িত করে জাতির চেয়ে কম মর্যাদাব্যঞ্জক উপজাতি তকমাটি সেটে দেয়া হয়েছে।”২ এই রাজনৈতিক বিবেচনায় লঘু নৃগোষ্ঠীসমূহ মূলধারা থেকে বিচ্ছিন্ন। বাঙালি শাসকগোষ্ঠীর অর্থনৈতিক শোষণ ও রাজনৈতিক নির্যাতনের শিকার এই নৃগোষ্ঠীসমূহ।৩ সংস্কৃতি, ভাষা, ধর্ম ও ঐতিহ্য বিবেচনায় এ নুগোষ্ঠীসমূহ স্বতন্ত্র জাতিসত্তা হিসেবে পরিগণিত হতে পারে।৪ তার জন্য সমাজ ও রাষ্ট্রের মানসিকতার পরিবর্তন প্রয়োজন।